
রূপচর্চায় কসমেটিক্সের ব্যবহার
আজকাল রূপচর্চা নিয়ে নারী-পুরুষ সবাই সচেতন। নিজের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক্স বা প্রসাধনী ব্যবহার করেন তারা। বাজারে স্বল্প দামে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রসাধনী পাওয়া যায়, যা ত্বকের সৌন্দর্য বাড়িয়ে থাকে। এ কারণে নিয়ম করে প্রতিদিনই রূপচর্চা করেন অধিকাংশ মানুষ। কেউ কেউ আবার দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনীও ব্যবহার করেন।
এদিকে প্রসাধনী উপাদান ব্যবহারে ত্বকের সৌন্দর্য না হয় বাড়ে। কিন্তু কখনো কি এর ক্ষতিকর দিকের কথা ভেবেছেন? বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, সাজগোজের প্রসাধনী থেকে নাকি ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে প্রসাধনী সামগ্রী নিম্নমানের হলে ক্যানসারের ঝুঁকি দ্বিগুণ থাকে। এ ব্যাপারে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অসীম সরকার। এবার তাহলে এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
রূপচর্চার প্রসাধনী কি ক্যানসারের কারণ: বাজারে বিভিন্ন দামের প্রসাধনী রয়েছে। তবে সবই নিরাপদ, এ ধারণা ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ডা. অসীম সরকার। অনেক নামী দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনীতে এমন কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়, যা ক্যানসারের অন্যতম কারণ হতে পারে। যেসব প্রসাধনী থেকে ত্বকে জ্বালাপোড়া ও অস্বস্তি হয়, তা থেকে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যা নিম্নমানের প্রসাধনীতে বেশি থাকার আশঙ্কা থাকে।
প্রসাধনীর কার্যকারিতা নিয়ে দ্বিধা: অনেক প্রসাধনীই রয়েছে যা ব্যবহারে কার্যকরী ফল পাওয়া যায় না। এরপরও এসব প্রসাধনী ব্যবহারে শরীরে ক্যানসার রোগ বাসা বাঁধতে পারে। সবাই জানেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি করে থাকে। এ থেকে ত্বকের ক্যানসারও হতে পারে। এ জন্য সূর্যের এই রশ্মির প্রকোপ থেকে ত্বক রক্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়। তবে তা অবশ্যই ৩০ বা এর বেশি এসপিএফ হতে হবে। কিন্তু সানস্ক্রিনের কার্যকারিতা ঠিক না থাকলে সূর্যের আল্ট্রাভায়োলেট রে ত্বকের সংস্পর্শে আসবে। ফলে অল্প বয়সেই ত্বক ঘুঁচিয়ে যাবে। এমনকি স্কিন ক্যানসারেরও ঝুঁকি থাকে।
✪ আরও পড়ুন: ঠান্ডার দিনে কেন মনে হয় মস্তিষ্ক কাজ করছে না? ব্যাখ্যা দিলেন বিশেষজ্ঞরা
প্রসাধনী কেনার আগে যাচাই: রূপচর্চা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক একইভাবে এর প্রসাধনী কতটুকু ভালো বা খারাপ, সেটিও যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, প্রসাধনীতে থাকা নির্দিষ্ট কিছু কেমিক্যালের জন্য ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রসাধনী কেনার আগে এর উপাদানে কী রয়েছে, সেটি একবার দেখে নিন। এ ক্ষেত্রে জেনে রাখতে হবে যে, ঠিক কোন রাসায়নিক থেকে ক্যানসার হতে পারে। রাসায়নিক নিয়ে আলোচনা করা হলো নিম্নে―
ট্রাইক্লোসান: এ রাসায়নিক মূলত মাউথ ওয়াশ, টুথপেস্ট, ডিওডোরেন্ট, সাবানে ব্যবহার করা হয়।
ট্যালক: কমপ্যাক্ট পাউডার, ব্লাশ, আইশ্যাডো, কনট্যুর পাউডারে বিদ্যমান থাকে এ উপাদান।
ফর্ম্যালডিহাইড: নেইল পলিশ, শাওয়ার জেল, বডি লোশনে দেখা যায় এ উপাদানের উপস্থিতি।
কোল টার: হেয়ার ডাই এবং খুশকি সারানোর প্রসাধনীর উপাদানের তালিকায় অনেক সময় ‘কোল টার’র উপস্থিতি দেখা যায়।
প্যারাবেন: অনেক ময়েশ্চারাইজার ও ফেসওয়াশে প্যারাবেন উপাদানের উপস্থিতি থাকে।
করণীয়: স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট থেকে ক্যানসারের আশঙ্কা থেকে রক্ষায় অবশ্যই প্রসাধনী কেনার আগে উপাদান ভালো করে দেখে কিনতে হবে। পাশাপাশি কোনো প্রসাধনী ব্যবহারের জন্য ত্বকের সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।
সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন চ্যানেল 24 অ্যাপ-
আর