ঢাকা   শুক্রবার , ১৪ মার্চ ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

চ্যানেল 24 ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

যুব মহিলা লীগের নেত্রীকে যুবদল নেতা

‘আপনে আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন, চার্জশিট থেকে আমি নাম কেটে দিমুনি’

চ্যানেল 24 ডেস্ক

প্রকাশিত : ১৯:৩৭, ০৯ নভেম্বর ২০২৪

‘আপনে আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন, চার্জশিট থেকে আমি নাম কেটে দিমুনি’

বকশিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগম ও সদস্যসচিব মাহবুবর আলম লাভলু । ফাইল ছবি

জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবর আলম লাভলুর সঙ্গে যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জহুরা বেগমের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। সেখানে যোগাযোগ করলে মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম কেটে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। দুই নেতার কথোপকথনের অডিওটি ফাঁস হওয়ার সোশ্যালে ব্যাপক সমালোচনা তৈরি হয়।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুই নেতার কথোপকথনের ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের কথোপকথনটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

জহুরা: আসসালামু আলাইকুম ভাই।

লাভলু: ওয়া আলাইকুম সালাম। ভালো আছেন?

জহুরা: কই ভালো ভাই? শেষ পর্যন্ত থাকবার দিলেন কই।

লাভলু: আপনে গড়ে এলাকার গামা উকিলে এগুলো করছে।

জহুরা: হ। গামা আর ইয়ে মানিক ভাই (বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মানিক সওদাগর) বলে এগুলা জানেই।

লাভলু: মানিক ভাই আপনের বিষয়টা জানে না।

আরও পড়ুন : আ. লীগের কর্মসূচি ঘোষণা, ‘কড়া বার্তা’ দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

জহুরা: মামলার তালিকা বলে না দেখে দেয় না। থানায় দেয়ার আগে বলে তালিকা দেইখা দে। এখন আমাদের ভাইস চেয়ারম্যানি ফেরত দিবো? এখন এগুলোর মধ্যে মামলা দিয়া থুইলে কেমনে কী করি!

লাভলু: ঠিকই আছে। মামলার মধ্যে পইরা থাকলে আরেক ঝামেলা।

জহুরা: নাম কি চার্জশিট থেকে কাটা যাবো?

লাভলু: আপনে আমার সাথে যোগাযোগ কইরেন। চার্জশিট থেকে আমি নাম কেটে দিমুনি।

জহুরা: এখন কোনো কিছু করা যাবো না?

লাভলু: এখন মানিক ভাইয়ের সঙ্গে বসে কথা বলতে হবো।

জহুরা: আমি তো এখন মামলার ভয়ো বের হতে পারছি না। উপজেলা থেকে কাগজপত্র সব আইসা পরতাছে। কোর্টে যাইতে বলতাছে সমন্বয়কারীরা। সবাই রিট করবো। এলাকায় যদি না থাকতে পারি, জনগণের কাজি যদি না করতে পারি, শুধুমাত্র উপজেলার চেয়ারম্যান থাকবো না। আর যে মেম্বাররা পলাতক তারা থাকতে পারবো না।

লাভলু: আপনার বলে রাস্তার ঠিকাদারি কাজ চলতাছে। ওইডা আমাকে দিয়া দেন, আমি করি।

জহুরা: আমারতো নিজস্ব কোনো কাজ নাই। ওইটা আমার না। এইল্লা মানসে বাড়তি কথা কয়। মাইসে ফেসবুকে দিছে কোটি কোটি টাকা কামাইছি। এই করছি, সেই করছি। দয়া করে মানিক সওদাগরের সাথে বইসেন তো দেখি।

লাভলু: ঠিক আছে। আপনে আমি কালকে বসমু।

জহুরা: আমিতো আপনাদের সাথেই কাজ করতে চাই মিলেমিশে।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মাহবুবুর রহমান লাভলুকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।  

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সজিব খান বলেন, ‘কল রেকর্ডটি এখন শুনিনি। রেকর্ডটি আনতে পাঠিয়েছি। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন চ্যানেল 24 অ্যাপ-

 

এসএস

    আরো পড়ুন