সৃজনশীল শিক্ষার মানোন্নয়নের ফল মেলেনি মাধ্যমিক পর্যায়ে
প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ের পরও ফল মেলেনি মাধ্যমিক পর্যায়ে সৃজনশীল শিক্ষার মানোন্নয়নে নেওয়া প্রকল্পে।
চালুর প্রায় আট বছর পরেও শিক্ষার্থীদের ৩৫ শতাংশই এখনো এই পদ্ধতি বুঝে উঠতে পারেনি। ইংরেজী, গণিত বা বিজ্ঞানের মত বিষয়ে দুর্বলতার কারণে গৃহশিক্ষক বা গাইড বইয়ের সাহায্য নিচ্ছে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ- আইএমইডির প্রতিবেদনে এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ আমলে চালু হওয়া আমাদের শিক্ষার অনেকটাই মুখস্ত নির্ভর। এর মধ্যে পেরিয়ে গেছে ২০০ বছর, মেধা বিকাশের উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক রয়ে গেছে এখনো। পরীক্ষা পদ্ধতি পাল্টাতে ফাইল কাঁটাছেড়া করা হয়েছে অনেক বার, ফল মেলেনি। সবশেষ ক বছর আগে চালু করা হয় সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতি। যার লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের সহজভাবে চিন্তা করতে শেখানো। এই ব্যবস্থা রপ্ত করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নে নেওয়া হয় ৮শ কোটি টাকার মাধ্যমিকে শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প।
তবে প্রকল্প বাস্তবায়নের পর খুব একটা সুখবর খুঁজে পায়নি সরকারি সংস্থা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ- আইএমইডি। তারা বলছে, প্রায় এক দশকের চেষ্টার পরেও অধরাই রয়ে গেছে কাঙ্খিত ফল। মাধ্যমিক পর্যায়ের বড় একটি অংশই এখনো রপ্ত করতে পারেনি নতুন পদ্ধতি। ইংরেজী, গণিত আর বিজ্ঞানেও কাঁচা বেশিরভাগই। পরীক্ষায় ৩৩ নম্বর ওঠাতে তাই গৃহশিক্ষকের কাছে যেতে হয় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে। যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে যত্মবান তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিক মতো তুলে ধরতে পারলে সৃজনশীল এই পদ্ধতিও হয়ে উঠতে পারে আনন্দের, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের।