ঢাকা   শুক্রবার , ১৪ মার্চ ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৩ রমজান ১৪৪৬

চ্যানেল 24 ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১৪ মার্চ ২০২৫
আপডেট: ১১:২৮, ১৪ মার্চ ২০২৫

রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন

জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বক্তব্য দেয়া এই ব্যক্তি নিহত হননি

চ্যানেল 24 ডেস্ক

প্রকাশিত : ১১:১৭, ১৪ মার্চ ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৮, ১৪ মার্চ ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে বক্তব্য দেয়া এই ব্যক্তি নিহত হননি

ছবি : রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেয়া

জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দেয়ায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার একটি খবর সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। তবে তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর রিউমর স্ক্যানার বলছে খবরটি সঠিক নয়। 

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দেয়া ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়নি বরং, তিনি এখনো জীবিত আছেন এবং তার ওপর কোনো ধরনের হামলাও হয়নি। ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ব্যক্তি দুইজন ভিন্ন। 

অনুসন্ধানে Kamrul Hasan নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত ০৫ মার্চ প্রচারিত একটি পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত পোস্টে থাকা ভিডিওর সঙ্গে আলোচিত ভিডিওর মিল রয়েছে।

আরও পড়ুন : এবার দ্বিতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ

উক্ত ভিডিওর ক্যাপশনে বক্তব্যরত ব্যক্তিটি পোস্টকারী নিজে দাবি করে বলেন, আমি জীবিত আছি! অনেকেই দেখলাম আমার এই বক্তব্য শেয়ার/পোস্ট করে বলছেন সাতকানিয়া শহীদ ২ জনের ১ জনের বক্তব্য এটা। এটা গুজব। আমি নিহত কিংবা শহিদ হইনি। আমি জীবিত আছি আলহামদুলিল্লাহ। পরবর্তীতে Kamrul Hasan নামক ফেসবুকে অ্যাকাউন্টটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, প্রচারিত ভিডিওতে বক্তব্যরত ব্যক্তিই উক্ত ব্যক্তি। 

এ ছাড়া, প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গত ৪ মার্চ প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ০৩ মার্চ রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় মসজিদের মাইকে ডাকাত এসেছে ঘোষণার পর পিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের মধ্যম কাঞ্চনা এলাকার মাহমুদুল হকের ছেলে মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন (৪৫) ও একই ইউনিয়নের গুরগুরি এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ছালেক (৩৫)। 

প্রথম আলোকে জামায়াতে ইসলামীর সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের সেক্রেটারি জায়েদ হোছেনের দেয়া বক্তব্যে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিরা জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।

Advertisement

অর্থাৎ, প্রচারিত ভিডিওতে থাকা ব্যক্তি নয় বরং, ভিন্ন দুই ব্যক্তিকে ডাকাত সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। সুতরাং, জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য দেয়া ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার দাবিটি মিথ্যা। 

সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন চ্যানেল 24 অ্যাপ-

 

এসএস

    Detail page R1/ ‍adblv&adfinix passbakc

    আরো পড়ুন  

    ×

    Nagad sticky AD