
মঞ্জুর এলাহীকে শেষ বিদায় দিচ্ছেন আত্মীয়-স্বজনসহ শুভাকাঙ্ক্ষীরা
দুনিয়ার মায়া কাটিয়ে চির বিদায় নিলেন দেশের একজন সৎ, সাহসী ও পরিশুদ্ধ ব্যবসায়ী সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। ৮৩ বছরের জীবনে যিনি সাফল্য ছড়িয়ে গেছেন নানা খাতে। বিদায় বেলায় বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা জানান, তার মতো ব্যবসায়ী দেশের মানুষের জন্য অনুকরণীয়।
বহুজাতিক কোম্পানির চাকরি ছেড়ে শূন্য থেকে শীর্ষ উদ্যোক্তায় পরিণত হয়েছিলেন অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। সীমাহীন বাধা অতিক্রম করে যিনি ব্যবসাকে নিয়ে গেছেন শিল্পের পর্যায়ে। চামড়াখাত দিয়ে যাত্রা শুরু করে, জীবনের ৮৩ বছরে এসে থেমেছেন ব্যাংক, বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ওষুধুসহ নানা খাতে নিজের সাফল্য বিস্তৃত করে।
গুলশান আজাদ মসজিদে তাকে শেষ বারের মতো বিদায় জানাতে আসেন দীর্ঘদিনের বন্ধু ও সহকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মতো দেশপ্রেমিক ব্যবসায়ী দেশে বিরল। তিনি শুধু অ্যাপেক্সে সীমাবদ্ধ ছিলেন না, একাধারে কাজ করেছেন দেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং রাষ্ট্র পরিচালনায়ও। ব্যবসায়ীদের উচিত তার মতো দেশ ও মানুষের স্বার্থে কাজ নিরলসভাবে কাজ করা।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ বলেন, সৎ ও পরিচ্ছন্ন ব্যবসায়ীর বাস্তব উদাহরণ সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী। নতুন প্রজন্মের জন্য তিনি অনুপ্রেরণা।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান হাসান বলেন, আমরা তো দ্বিতীয় প্রজন্ম, বাবার চেয়ারে বসে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। কিন্তু সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর গল্পটা ভিন্ন। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি চাকরিজীবী থেকে একজন সফল উদ্যোক্তা। ব্যবসায়ীদের অনেকে দু'হাত ভরে টাকা কামিয়েছেন, কিন্তু তিনি কামিয়েছেন সম্মান, মর্যাদা আর ভালোবাসা। যা বিরল।
বাংলাদেশ লেদার ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড টেকনোলজিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একেএম মুশফিকুর রহমান মাসুদ বলেন, সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর বিদায়, চামড়া শিল্পের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি আমাদের অনুপ্রেরণা। তার দেখানো পথে আমরা এই খাত এগিয়ে নিয়ে যাবো বহুদূর।
সারাদিনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল প্লে স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন চ্যানেল 24 অ্যাপ-
এএইচ