নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের আলোচনায় তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি
আবারও আলোচনায় তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির প্রচেষ্টা। সম্প্রতি এ নিয়ে সাবেক মন্ত্রী আ স ম রবের বাসায় বৈঠকে বসেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সেখানে পুলিশি বাধায় বেশ নড়েচড়ে বসেছেন তারা। নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ আর বিএনপি অত্যাচারে নাভিঃশ্বাসে দেশের জনগণ। তাই তৃতীয় শক্তির উত্থান এখন সময়ের দাবি। তবে এই উদ্যোগে এখনই সামিল হচ্ছে না বামপন্থিরা। তারা বলছেন, আগে সবাই শক্তি সঞ্চয় করুক। তারপর দেখা যাবে, তাদের ভাষায় উদার গণতন্ত্রীদের সাথে সখ্যতার বিষয়টি।
গত জাতীয় নির্বাচনের আগে পরে, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে, অন্তত কথাবার্তায় বেশ সরব হয় বেশ কজন রাজনৈতিক নেতা।
কয়েকদিন আগে এইরকম এক প্রচেষ্টায়, আ স ম রবের বাসায় বৈঠক করেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী-কাদের সিদ্দিকী ও মাহমুদুর রহমান মান্নার মতো নেতারা। সেই ঘরোয়া বৈঠকে পুলিশের বাধা দেয়া নিয়ে বেশ সরগরম আলোচনা এখন রাজনীতিতে।
ওই বৈঠকের উদ্যোক্তাদের একজন বলছেন, চলমান ধারার রাজনীতির বিপরীতে কিছু একটা করতেই বৈঠকে বসেছিলেন তারা। ফল পেতে অব্যাহত থাকবে এই প্রচেষ্টা।
নিজেদের উদার গণতান্ত্রিক শক্তি দাবি করা এই নেতাদের আশা, এই প্রচেষ্টায় অংশ নেবে প্রগতিশীল বামপন্থীরাও। তবে এই মুহূর্তে, দেশের দুই বড়ো বাম দল সিপিবি ও বাসদ একসাথে চলছেন অনেকদিন থেকেই। সেখানে সম্প্রতি যোগ দিয়েছে আরেক বামজোট গণতান্ত্রিক বাম মোর্চ।
বাম নেতারা বলছেন, এখনই উদারপন্থীদের সাথে কোনো জোটে যাচ্ছে না বামপন্থিরা। বরং তারা পর্যবেক্ষণ করছেন ওইসব প্রচেষ্টাকে।
রব-মান্না-বদরুদ্দোজা চৌধুরীদের এক হওয়ার চেষ্টাকে এখনো বড়ো কিছু হিসেবে দেখতে চাইছেন না এই বিশ্লেষক।
তবে সবাই মনে করছেন, সামনের দিনে ভোটের পরিবেশ কেমন হবে, তার ওপরই অনেকখানি নির্ভর করবে নতুন কোন জোটের আত্নপ্রকাশ।