ইরাকে আইএসের সাময়িক পরাজয় হলেও অন্য নামে ফিরতে পারে জঙ্গিরা
ইরাকে আইএসের সাময়িক পরাজয় হলেও অন্য নামে জঙ্গিরা ফিরে আসতে পারে; এমন সতর্কতা দিয়েছে পেন্টাগন। কেননা মসুল থেকে বিতাড়িত হলেও, শহরটির পশ্চিম ও দক্ষিণে প্রধানত গ্রাম ও মরু অঞ্চলে এখনও শক্ত অবস্থানে আইএস। যদিও ইরাকে সংঘাত জিইয়ে রাখতে, সৌদি আরব ও ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে ইরান।
দেখে মনে হতে পারে, হলিউডের কোন অ্যাকশন মুভির দৃশ্য এটি। কিন্তু না, এটি সদ্য জঙ্গিমুক্ত ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী-মসুল। সেনা অভিযানে আইএস পরাস্ত হবার পর, একের পর এক স্পষ্ট হচ্ছে, ধ্বংসযজ্ঞের ছাপ। গেল তিন বছর ধরেই প্রাচীন এ শহরে ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালায়, জঙ্গিরা।
গেল বছরের শেষ দিকে, মসুল অভিযানে নামে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাকি বাহিনী। ৯ মাসের সংঘাতে প্রাণ গেছে, সাড়ে ৮শর বেশি মানুষের। শহর ছেড়েছে আরও ৯ লাখ মানুষ। একসময় বিত্তবান এসব নি:স্বপ্রায় মানুষগুলো ফিরতে চান, নিজ শহরে।
অবশ্য, ইরাকে আইএসের সাময়িক পরাজয় হলেও অন্য নামে জঙ্গিরা ফিরে আসতে পারে শহরে, এমন সতর্কতা দিয়েছে পেন্টাগন।
ইরাকের শীর্ষ মার্কিন কমান্ডার লে.জে. স্টেফেন টাউনসেড বলেন, 'এটা ভুলে গেলে চলবে না, রাক্কায় আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে আমাদের ৩ বছর সময় লেগেছে। মসুলের এই জয়ও রীতিমত অবাক করার ব্যাপার। আইএসকে হটানোর পর এখন ইরাকের রাজনৈতিক সংস্কারের দিকে নজর দিতে হবে। কারন সুন্নি গোষ্ঠীর একটি বড় অংশই এখনো বাগদাদের ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর নাখোশ। তাই, সব জনগনকে আস্থায় নিয়েই জঙ্গিবিরোধী অভিযানে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।'
ইরাক সংঘাত জিইয়ে রাখতে, সরাসরি সৌদি আরব ও ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে, ইরান।
ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, 'মসুলের এই বিজয় শুধু ইরাকিদের জন্যই আনন্দের নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর জন্যই সুসংবাদ। অবশ্য, এ অঞ্চলের কিছু দেশ এখনো ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত জিইয়ে রাখতে চান। কারন তারা রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ এবং বয়সে তরুন। তারাই জঙ্গিদের মদদ দিয়ে আসছে। আশা করব, তারা ভুল পথ ছেড়ে শান্তির পথে ফিরে আসবেন।'
জাতিসংঘ বলছে, তিন বছরের সংঘাতে মসুলে পুরো নিশ্চিত হয়ে গেছে ৫শরও বেশি ভবন। আর ধ্বংসস্তুপে পরিণত ভবনের সংখ্যা হাজার হাজার। শহর পুনগর্ঠনে প্রাথমিকভাবে ১শ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন বলে দাবি ইরাকি কর্তৃপক্ষের।