পাহাড়ধসের একমাস পরও স্বাভাবিক হয়নি রাঙ্গামাটি
ভয়াবহ পাহাড়ধসের পর পেরিয়েছে এক মাস। কিন্তু এখনো স্বাভাবিক হয়নি পার্বত্যজেলা রাঙ্গামাটির জীবনযাত্রা। বসতভিটা হারিয়ে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো মানবেতর দিন কাটছে ২ হাজারেরও বেশী মানুষের। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে নেয়া যায়নি কোন উদ্যোগ। পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি সড়ক যোগাযোগ। এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই-বান্দরবান সড়ক।
লন্ডভন্ড আর বিপর্যস্ত রাঙ্গামাটির পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে এখনো স্পষ্ট সবহারানোর মানুষের করুন আর্তি।
গত ১৩ জুন সদর, কাউখালী, কাপ্তাই, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ পাহাড়ধসে বিরানভূমিতে পরিনত হয় পুরো জনপদ। প্রাণ হারান ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জন। ক্ষতি হয় অন্তত ১২শ কোটি টাকার সম্পদ।
এই বিপর্যয়ের পর ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় চারহাজার মানুষ অবস্থান নেয়। এরমধ্যে কেউ কেউ নিজ দায়িত্বে ছেড়ে গেলেও একমাস ধরে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন দুই হাজারেরও বেশী মানুষ।
প্রশাসন বলছে, স্থায়ী পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত আশ্রয়েকন্দ্রেই থাকতে পারবে ক্ষতিগ্রস্তরা আর পৌর মেয়র জানিয়েছেন,সমন্বিতভাবে পুনর্বাসনের পরিকল্পনার কথা।
পাহাড়ধসে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে সীমিত পরিসরে যান চলাচল করলেও এখনো বন্ধ রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক। তাছাড়া রাঙ্গামাটি-কাপ্তাই-বান্দরবান সড়কেও বন্ধ রয়েছে ভারী যান চলাচল।
এদিকে, রাঙ্গামাটির সাথে দূরপাল্লার তিনটি সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ থাকায় অচলাবস্থা চলছে বেশীরভাগ ব্যবসাবাণিজ্যে। চরম মন্দা চলছে পর্যটন ব্যবসায়।