হুঁশিয়ারি মানেননি পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীরা
গেল ৯ বছরে উচ্ছেদের চেষ্টা হয়েছে অসংখ্যবার। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে গ্যাস-বিদ্যুৎ আর পানির সংযোগ। আশ্বাস দেয়া হয়েছে পুনর্বাসনের। কিন্তু কোন চেষ্টা-উদ্যোগই সফল হয়নি। চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে সরানো যায়নি ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাস করা দুই লাখের বেশি মানুষকে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই বারবার ব্যর্থ হচ্ছে মৃত্যুকূপ থেকে এসব মানুষকে বের করার উদ্যোগ।
পাহাড় কেটে তৈরি করা সারি সারি বাড়িঘর। যেখানে বাস করছে লাখো মানুষ। বন্দরনগরীর পাহাড়ী এলাকায় এসব বসতির কোনটাই বৈধ নয়। সরকারি হিসাবে যা ৩০ হাজার হলেও বাস্তবে তা ৫০ হাজারের বেশি। সোমবার রাতে একদিনেই চট্টগ্রামসহ তিন জেলায় পাহাড়ধসে ব্যাপক প্রাণহানির পর এখন উদ্বেগ বেড়েছে এসব বসতি নিয়ে।
২০০৭ সালের ১১ জুন ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১২৮ জনের মৃত্যুর পর, এসব ঝূঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদের নানা চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি। ফলে এক প্রকার মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বাস করছে নিম্ন আয়ের এসব মানুষ।
পাহাড় ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি একটি কমিটি আছে। সেই কমিটি মাঝে মাঝে সভা করে, নির্দেশ দেয় বসবাসকারী লোকজনকে সরে যেতে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়না। সরেনা কেউই।
উদ্যোগ ছিল, এসব লোককে অন্যত্র পুনর্বাসনের। কিন্তু সেটাও ঝিমিয়ে আছে।
চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি গড়ে ওঠা ২১টি পাহাড়ের মালিক সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ, এসব প্রতিষ্ঠানের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারি অর্থের বিনিময়ে ঘর তৈরির সুযোগ দিচ্ছে লোকজনকে।